রেশন কেলেঙ্কারিতে [ Ration Scam] বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা এক কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার করেছেন। হাওড়ায় অঙ্কিত ইন্ডিয়া নামক কারখানা থেকে 1 কোটি 40 লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ইডি জানিয়েছে, গত 4 ও 5 তারিখে তল্লাশির ভিত্তিতে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাঁকুড়ার দুটি সংস্থার কাছ থেকে 16 কোটি 80 লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। তাদের মেসার্স এ জে অ্যাগ্রোটেক এবং মেসার্স এ জে রয়্যাল প্রাইভেট লিমিটেড – তদন্তকারী আধিকারিকরা এই দুটি সংস্থার পাটনার সিপি জেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন। দুর্নীতি মামলায় উদ্ধার হওয়া মোট পরিমাণ 18 কোটি 20 লক্ষ টাকা।
4 তারিখ শনিবার, কাকভোর, বনগাঁর কালুপুরের রাধাকৃষ্ণ ফ্লাওয়ার মিলে ইডি অভিযান চালায়। এই কলটির মালিক হলেন মন্টু সাহা এবং কালিদাস সাহা। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বনগাঁর কোরায় বাগান ব্যবসায়ীদের বাড়িও পরিদর্শন করেছে। এই দুই ব্যবসায়ী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। সূত্রের খবর, এই কল থেকে রেশনর ময়দা ও চাল ব্যবহার করা হত। বনগাঁও, নদিয়ার রানাঘাট ছাড়াও ইডি ব্যাপক তল্লাশি চালায়। ইডি-র আধিকারিকরা সেখানকার এক চালকের বাড়িতে তল্লাশি চালায়।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, 4 তারিখ থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি 30 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে। এর পর মঙ্গলবার ইডি টাকা উদ্ধারের তথ্য সামনে এনেছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে 18 কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ইডি-র অনুমান, আরও অর্থের সন্ধান পাওয়া যাবে। এদিকে, তদন্তকারীরা ব্যবসায়ী বকিবুর রহমান ও তার সহযোগীদের গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি ডায়েরি উদ্ধার করে। সেই ডায়েরিতে বিভিন্ন হিসাব রয়েছে। সেই তথ্যের মাধ্যমে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।