সোমবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে আসার ঠিক পরেই সমীর সেখানে হাজির হন যখন তিনি টিফিন খাচ্ছিলেন। সে মালাকে বলে, পায়ে জুতো, কিছু কথা আছে। একটু বেরিয়ে আসুন
স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সে তার বাবার বাড়িতে এসেছিল এবং আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছিল। সে 15 বছর বয়সী একটি মেয়েকে মানুষ বানানোর চেষ্টা করছিল। কিন্তু স্বামীর রাগ কমেনি। অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ি এসে কার্যত দেহ থেকে স্ত্রীর মাথা আলাদা করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুরে। নিহত ব্যক্তির নাম মালা বোস (40) ।. স্ত্রীকে হত্যার পর রাতে সোনারপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন স্বামী সমীর মণ্ডল।
16 বছর আগে মালাদেবীর সঙ্গে সমীরের বিয়ে হয়। তাদের 15 বছরের মেয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাশ করবে। ভুক্তভোগীর মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু মদ্যপানের কারণে ব্যবসাটি সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। স্বামীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য মালা একটি কল সেন্টারে কাজ শুরু করেন। এই হল বিপদ। সমীর অভিযোগ করতে থাকে যে, মালার সহকর্মীদের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই অভিযোগে তাঁর উপর নির্যাতন শুরু হয়। রাতে মদ খাওয়ার পর দিনের পর দিন সে তার স্ত্রীকে মারধর করে। টাকা চাওয়ার জন্য নির্যাতন।
এই সব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে মালা তার মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে আসে। সেখান থেকে অফিসে যাচ্ছিলেন। তিনি সমীরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে আসার ঠিক পরেই সমীর সেখানে হাজির হন যখন তিনি টিফিন খাচ্ছিলেন। সে মালাকে বলে, পায়ে জুতো, কিছু কথা আছে। একটু বেরিয়ে আসুন স্বামীর ডাকে মালা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমীর তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মুন্ডু কার্যত একবারে ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। মালাদেবী ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে যে সমীর এর আগে মালাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তিনি অ্যাসিড হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিলেন। অভিযুক্ত সোনারপুর থানায় যায় এবং রাতে আত্মসমর্পণ করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।