জীবনসঙ্গীর সন্ধানে

ভক্তরা বিশ্বাস করেন, জাগ্রত দেবতাদের আশীর্বাদে উপযুক্ত স্বামী-স্ত্রীর মিলন ঘটে।

 

শ্রী মঙ্গলেশ্বর মন্দির

 

মঙ্গলাম্বিকাই সমতা শ্রী মঙ্গলেশ্বর মন্দির পূজা বা প্রেমের বিবাহ সফল হয়। অগণিত ভক্ত তাই বিশ্বাস করেন। ‘মঙ্গল্যম “শব্দের অর্থ মঙ্গলসূত্র বা প্লেট। যাঁরা এখানে আসেন তাঁরা পূজার সময় এই জিনিসগুলি ব্যবহার করেন। এই মন্দিরটি তামিলনাড়ুর ত্রিচি বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় 22 কিলোমিটার দূরে লালগুড়ি গ্রামে অবস্থিত। ভাবছেন, যাঁরা বিয়ে করতে চান, তাঁরা কি শুধু এই মন্দিরে যান? বিবাহিত মহিলারাও দেবদর্শনে যান। যাঁরা বছরের পর বছর ধরে সন্তান চান এবং দত্তক নেননি, তাঁরাও সন্তান জন্ম দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই মন্দিরে পূজা করেন।

 

অবস্থানঃ চেন্নাই থেকে তামিলনাড়ুর ত্রিচি পর্যন্ত ট্রেনে যেতে 5 ঘন্টা 30 মিনিট সময় লাগে। ত্রিচি বাস স্ট্যান্ড থেকে 22 কিলোমিটার দূরে লালগুড়ি গ্রাম অবস্থিত। এই মন্দিরটি সেখানে রয়েছে।

 

শ্রী বেদপুরেশ্বর

 

তামিলনাড়ুর তিরুভেদিকুড়িতে থিরুভাইয়ারুর কাছে মঙ্গাইয়ারাক্রাসি সমতা এলাকায় শ্রী বেদপুরেশ্বর মন্দির। এখানকার প্রধান দেবতা হলেন বেদপুরেশ্বর বা ভাজাইমাদুনাথর। শিবের আরেকটি রূপ। এখানে একটি স্বয়ম্ভু লিঙ্গ রয়েছে, যেখানে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ আসেন। অবিবাহিত দম্পতিরা তাদের প্রেমের বিবাহের ইচ্ছা পূরণের জন্য এখানে পূজা করেন। কথিত আছে যে, চোল রাজা তাঁর মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। তিনি দেবী মঙ্গয়ারকরসীর কাছে প্রার্থনা করেন এবং কন্যার নামে পূজা করেন। কয়েক দিনের মধ্যেই উপযুক্ত বরের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। রাজা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে তিনি মেয়েটির নাম পরিবর্তন করে মঙ্গয়ারকাসি রেখেছিলেন।

 

অবস্থানঃ চেন্নাই থেকে তিরুভেদিকুরি পর্যন্ত 310 কিলোমিটার। সেখান থেকে তিরুভাইয়ারু পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় 62 কিলোমিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *