সুশান্তের ছায়া ফিরে এসেছে! এক কলেজ ছাত্রীকে রাস্তায় মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার সাইথিয়ায়। এমনকি অভিযোগ করাহয় যে, একজন স্থানীয় দোকানদার মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকে আক্রমণ করা হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছেপুলিশ। আহত ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কি জানা যায়?
বুধবার বিকেলে সাইঠিয়ার তালতলা জংশনের কাছে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, কলেজ থেকে ফেরার পথে ছাত্রীটি বাস ধরার জন্য অপেক্ষাকরছিল। এমন সময় এক যুবক এসে তাঁকে আক্রমণ করে। অভিযুক্ত যুবকটি একটি বাইকে করে এসেছিল। দু “জনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।এরপর যুবকটি বাইকের টুলবক্স থেকে একটি ধারালো অস্ত্র বের করে। অভিযোগ, তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। একজনস্থানীয় মিষ্টি বিক্রেতা পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। সে দোকান ছেড়ে চলে যায় এবং মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা তাঁকেওমারধর করে বলে অভিযোগ।
কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?
স্থানীয়দের দাবি, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান বহু মানুষ। অভিযুক্ত ছেলেকে তারা ধরে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশএসে মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের রিপোর্ট কি?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেটির নাম নজিবুল হক। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ছত্রেরগ্রামের কাছে ছোটুরি গ্রামে। কেন তিনি এই ধরনের কাজ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যে মেয়েটিরকোনও পূর্ব পরিচিত ছিল কিনা, কোনও সম্পর্কের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা। তবে পুরো ঘটনাটি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর এক কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গোটা রাজ্যই তোলপাড়ের মধ্যে পড়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার বাহারমপুরে একটিপাবলিক রোডে সুতপা চৌধুরী নামে এক কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রীকে প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকেগ্রেপ্তার করা হয়। আদালত আগস্টে স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ফাস্ট ট্রাক কোসওয়ালের জবাবের পর বাহরামপুরেরআদালত সুশান্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।