ঘটনার একটি উল্লেখযোগ্য মোড়কে, প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের সভাপতি গৌতম পালকে ওএমআর শীট কেলেঙ্কারিতে[The OMR Sheet Scandal] সুপ্রিম কোর্ট সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করেছিল। সোমবার প্রধান বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের সামনে এই মামলার শুনানি হয়। তাঁর সমর্থনে সভাপতি গৌতম বাবু যুক্তি দিয়েছিলেন যে তিনি কোনও অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
ওএমআর শীট বিতর্ক[The OMR Sheet Scandal] এবং সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ
ওএমআর শীট কেলেঙ্কারি 18ই অক্টোবর থেকে শুরু হয়, যেখানে প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেছিলেন। তিনি একই দিনে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এবং সম্পাদক পার্থ কর্মকারকে তাদের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে ডিজিটালভাবে নথিভুক্ত ওএমআর শীট, যা পর্ষদ দ্বারা অস্তিত্বহীন বলে দাবি করা হয়েছে, তা উপস্থাপন করা উচিত। ও. এম. আর শিটের অস্তিত্ব আছে কি না তা যাচাই করা অপরিহার্য এবং এই চ্যালেঞ্জটি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া উচিত। একই সন্ধ্যায় সন্ধ্যা 6:30 মিনিটে গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকার উভয়কেই নিজাম প্রাসাদে তলব করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এমনকী প্রয়োজন হলে সিবিআই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে বলেও নির্দেশ দেয়। দুজনেই সিবিআই অফিসে হাজির হন, কিন্তু পরে গৌতম বাবু এই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেন।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানি এবং আইনি সহায়তার অনুপস্থিতি
সোমবার প্রধান বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। গৌতম বাবুর পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয় যে, তিনি কোনও অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, কেন গৌতম বাবুকে সুপ্রিম কোর্ট কোনও আইনি সুরক্ষা দেয়নি?
এই মামলার গভীরে যাওয়ার জন্য আদালত সিবিআই-কে নোটিশ জারি করে তাদের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। কেন গৌতম বাবুকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া হয়নি, তা সিবিআই-কে ব্যাখ্যা করতে হবে।
সমগ্র ও. এম. আর শীট বিতর্ক অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে এবং বিচার ব্যবস্থার জন্য সেগুলির সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মামলাটি সামনে আসার সাথে সাথে গৌতম পালের পরিস্থিতির আইনি দিকগুলি সুপ্রিম কোর্ট এবং সিবিআই কীভাবে পরিচালনা করে তা দেখতে আকর্ষণীয় হবে।