জুয়া হলে অভিযান চালিয়ে বিজেপি নেতাকে হাতেনাতে ধরে ফেলল পুলিশ। জুয়ার অনুষ্ঠান থেকে নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, মালদার মানিকচক থানা মন্ডল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সহ 8 জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, মানিকচক থানা পুলিশ শনিবার গভীর রাতে খায়েরতলা এলাকায় অভিযান চালায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে জুয়া খেলা চলছিল। এক বিজেপি নেতা সহ 8 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতার নাম দীপক মণ্ডল। তিনি মণ্ডল নং-28এর সাধারণ সম্পাদক। পুলিশের অভিযানে এই বিজেপি নেতা সহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার করা হয়েছে 13 হাজার 557 টাকা মূল্যের বোর্ড মানি। মানিকচক থানা পুলিশ রবিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে মালদা জেলা আদালতে পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ মালদহের বিজেপি সভাপতি পার্থসারথী ঘোষ বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে চলে না, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর পাশে কোনও দল থাকবে না। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, আমাদের দলের কর্মীদের পুলিশ মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আদালত আত্মবিশ্বাসী যে, যদি দীপক মণ্ডলকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়, তবে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে না। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু বলেন, ‘আজ যখন আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,সাধারণ মানুষের অর্থের দাবি নিয়ে দিল্লির কাছে দরবার করছে, তখন বিজেপি নেতারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার কাজ করছেন। বিজেপি চায়, আমাদের পুলিশ প্রশাসন এই বাংলাকে ধ্বংস করার জন্য সঠিক কাজ করেছে।
এটি লক্ষ করা উচিত যে সর্ব তৃণমূল কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আবাস যোজনা, 100 দিনের কাজ সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বকেয়া নিয়ে শাসক দল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। গেরুয়া শিবির বিনিময়ে দুর্নীতির অভিযোগ করে। রাজ্যপালের বকেয়া সম্পর্কে বাংলার মানুষের লেখা চিঠি দিতে এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন।