অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র

কাটোয়াঃ একজন তৃণমূল নেতা অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বসে আছেন। লুঙ্গি, গেঞ্জি পরে। কাঁধে একটা তোয়ালে ঝুলছে। সামান্য একঘেয়ে ভঙ্গিতে বাঁশের মাদুরের উপর বসে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামের তৃণমূল সভাপতি সাইদুর রহমান মোল্লা ওরফে বুলেটের এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর এই ছবি ভাইরাল হয় এবং এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগ, তৃণমূল নেতা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকায় তাঁর ক্ষমতা দেখিয়েছেন। অমরপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোল্লা বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি বুলেটের সঙ্গে কথা বলি। তখন আমি জানতে পারি যে ছবিটি প্রায় 6 বছর আগে একটি খেলনা বন্দুক দিয়ে তোলা হয়েছিল। এখন কেউ ষড়যন্ত্র করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে। ” জানা গেছে, আউশগ্রাম 2 ব্লকের অমরপুর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান মোল্লা ওরফে বুলেট ওই এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি তাঁর গ্রামের বুথে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আউশগ্রামের বিষ্ণুপুর গ্রামে এক সিপিএম কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। সাইদুর রহমান মোল্লা এই হত্যা মামলার আসামি। যদিও সে এখনও পুলিশের রেজিস্টারে রয়েছে।

এই দিনে গুলির একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি দেখে অনেকেই কার্যত হতবাক হয়ে যান। একটি বন্দুকের হাতে গুলির ছবি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সিপিএমের স্থানীয় নেতা সুদীপ্ত দত্ত বলেন, ‘ভাইরাল হওয়া সেই তৃণমূল নেতার ছবিতে নিশ্চয়ই কিছু সত্যতা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়ক চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 

তবে, তিনি যখন তৃণমূল আঞ্চলিক সভাপতি গোলাম মোল্লার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তিনি তাঁর ফোনটি অভিযুক্ত বুলেটের হাতে তুলে দেন। বুলেট দাবি করে, “প্রায় 6 বছর আগে আমি গ্রামের একটি মেঝেতে বসেছিলাম। তারপর কেউ একজন খেলনা বন্দুক নিয়ে আসে। সবাই যেমন দেখছিল, আমিও তেমনই দেখছিলাম। সেই সময় আমার অজান্তে কেউ একজন ছবি তুলেছিল। এখন তারা একটি ষড়যন্ত্র করেছে এবং এটি ভাইরাল করেছে “।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *