স্কুলছাত্রের আকস্মিক মৃত্যু

পূর্ব বর্ধমানে এক স্কুলছাত্রের আকস্মিক মৃত্যু। গোটা গ্রাম এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যায়। নতুন জামাকাপড় নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার কারণে দশম শ্রেণির ছাত্র চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোটা গ্রাম এই ঘটনায় মর্মাহত। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের দেহ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। দুর্গাপূজা উৎসবের এই দিনে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পূজা মানে বাঙালিদের নতুন জামাকাপড় কিনতে হবে। নতুন জামাকাপড় নিয়ে তর্কের জেরে 10ম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের পানবয়রা গ্রামে। এই ঘটনার পর উৎসবের দিন গোটা গ্রাম শোকে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছে। প্রতিবেশীরা তাদের চোখের জল ধরে রাখতে পারে না।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তমীর দিন পানবয়রা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বাবা দুই ছেলের জন্য পূজায় পরার জন্য কাপড় কিনেছিলেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। দশম শ্রেণির ছাত্র কার্তিক ঘোষ রাগে দড়ি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীরা কলনা মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের দেহ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবক সুশুনিয়া রানীবালা বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির ছাত্র। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।

 

 

মৃত পাদুয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবার কেনা জামাকাপড় নিয়ে কার্তিক ও তার ভাইয়ের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক হয়েছিল। পরিবারের দাবি, ভাইয়ের প্রতি হিংসার কারণে সে এই অপরাধ করেছে। পুরো ঘটনাটি এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

মৃত ছাত্রের বাবা অর্জুন ঘোষ বলেন, ‘আমি দুই ছেলের জন্য কাপড় কিনেছি। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়াটা কী। কিন্তু এই কারণেই আমি বুঝতে পারি যে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে আমার বড় ছেলে কী করবে। আমি যদি জানতাম, তাহলে হয়তো আমি কিছু করতে পারতাম। ‘

 

পানবয়রা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘দুই ভাইয়ের মধ্যে মিল ছিল। এই বয়সে মাঝে মাঝে ঝগড়া এবং ঝামেলা হয়। কিন্তু সেই কারণে, আমরা কেউই কল্পনা করতে পারিনি যে পূজার সময় কার্তিক এমন কিছু করবে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারি না যে গতকাল যে ব্যক্তিকে দেখেছি সে আর বেঁচে নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *