বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ,এই সন্দেহে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকের নূরপুর এলাকার লালবাথানি নোয়াদা মহেশপুর এলাকায়। অভিযুক্তদের খুঁজছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নমিতা বসাক[28]। শনিবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। মৃতের বাবার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের জামাতা কালীচরণ বসাক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে হত্যা করেছে। হত্যার পর প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরপর দেহটি দড়িতে ঝুলিয়ে হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে, অভিযুক্ত কালীচরণ এবং তার পরিবারের কোনও সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তরা সবাই পলাতক।
নমিতার 10 বছর আগে পেশায় একজন দিনমজুর কালীচরণকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। স্বামীর সন্দেহ হয় যে, স্ত্রীর অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। অভিযোগ, কালীচরণ প্রায় প্রতিদিনই তাঁর স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এমনকি স্বামী-স্ত্রীর এই বিভ্রান্তির জন্য গ্রামে বেশ কয়েকটি সালিশ সভাও হয়। মৃতের মা অভিযোগ করেন, “বোনের কথায় জামাই স্ত্রীকে সন্দেহ করত। সে তার মেয়েকে ক্রমাগত মারধর করত। আসলে, বেশ কয়েক দিন আগে, জামাই তাকে অন্য কোথাও বিয়ে করবে বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বাক্ষর না করায় মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
নমিতার মা বলেন, শনিবার সকালে তিনি জনসম্মুখে শুনেছিলেন যে তাঁর মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে তার মেয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। সেই সময় বাড়িতে জামাই বা পরিবারের অন্য কোনও সদস্য ছিলেন না। মহিলার দাবি, জামাইয়ের সঙ্গে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা নমিতাকে হত্যা করে। মেয়েটির দাবি, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। IC মানিকচক পুলিশ স্টেশনের পার্থসারথি হালদার বলেন, ‘নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।