পঞ্চায়েত মন্ত্রীর [Panchayat minister’s ] বাড়িতে ‘হামলা’। অভিযোগ, প্রদীপ মজুমদারের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। জানালার কাচ, বারান্দা, দরজা ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ ধাতব অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব বর্ধমানের মাধাবাদী থানাধীন গোতানের কামারহাটি গ্রামের বাড়িতে বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে।
এক আদিবাসী যুবক মন্ত্রীর বাড়ির পুকুর থেকে মাছ চুরি করেছে বলে অভিযোগ। পুকুরের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে হুগলির আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই রাতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা গ্রামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। বিকেলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা আবার জড়ো হয়। মন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে সোমবার মাধবদিহি থানাধীন গোতান গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে উন্মত্ত জনতা এসে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই গ্রামে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বাড়ি রয়েছে। যদিও মন্ত্রী বর্তমানে এখানে নেই। তিনি দুর্গাপুরে রয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিধায়ক শম্পা ধারা বলেন, “মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রাখা হয়নি। মন্ত্রীর পুকুরটি অন্য কেউ চাষ করে। এক উপজাতি যুবকের সঙ্গে মাছ ধরা নিয়ে তাঁদের বিবাদ ছিল। মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়ি অবরোধের বিষয়টিও অস্বীকার করেন।